উখিয়ার চিহ্নিত মাদক কারবারি জয়নাল বেপরোয়া

  • * দৃশ্যমান ব্যবসা নেই, ভাব-সাব রাজকীয়
    * রয়েছে মাদক মামলা,তারপরেও থেমে নেই কারবার
    * প্রশাসনের নজরদারি জরুরী

এম ফেরদৌস, উখিয়া, কক্সবাজার ::
উখিয়া হাজীরপাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারী জয়নাল দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হোটেল ব্যবসা ও টেলিকম ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবারে জড়িত ফাইজু-সুলতান সিন্ডিকেটের গোমর ফাঁস হলেও জয়নাল সিন্ডিকেট এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে ।

এই সিন্ডিকেট প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গাদের সাথে আঁতাত করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদকপাচার করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

জানা যায়, জয়নালের নানার বাড়ি সীমান্তবর্তী ডেইলপাড়া হওয়ার সুবাধে সেখানে যাতায়াতের অজুহাত ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবত ধরে সীমান্ত হতে মাদক এনে উখিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পাচার করছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে উখিয়া প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার চালান নিয়ে চট্রগ্রাম পৌছালে চাঁদগাও থানার তল্লাশীতে ইয়াবাসহ হাতে নাতে আটক হয়। পরে তার বিরুদ্ধে চাঁদগাও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, হাজিরপাড়া এলাকায় খুচরা ও পাইকারি হিসাবে মাদকের আরতখানায় পরিনত করেছে এই জয়নাল সিন্ডিকেট। তাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা থাকলেও তারা এসবের পরোয়া করেন না। দিন দুপুরে অই এলাকায় সু-কৌশলে খুচরা মাদক বেচাকিনা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব তার সিন্ডিকেট দিয়েই পরিচালনা করা হচ্ছে । সেখানে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন রিকশাচালক ও টমটম ড্রাইভাররা। এদের পিছনে আতাউল্লাহ নামে এক ব্যাক্তি মাস্টারমাইন্ড হিসাবে কাজ করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। তাদের রয়েছে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সিন্ডিকেট। তার নিজ এলাকাসহ অন্যান্য জায়গায় পাইকারি ও খুচরা হিসাবে মাদক পাচার করে রাতারাতি লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যায়। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে ।

স্থানীয়রা বলছে, জয়নালের দৃশ্যমান কোন ব্যবশা নেই। অল্প বয়সে তাঁর নামে বেনামে অনেক স্বয়-সম্পত্তি রয়েছে। তার এত সম্পদের উৎস কি কারো জানা নেই ।

অভিযুক্ত জয়নালের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান চললেও এখন পর্যন্ত মাদক কারবার বন্ধ হয়নি যদিও আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। এখনো সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে বড় বড় মাদকের চালান। বিনিময়ে দেশ থেকে পাচার হচ্ছে দেশীয় পন্য তেল,ডাল,চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক দ্রব্যাদি।

বিশেষ করে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা এসব কাজ করে যাচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে মাদকের পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের পরও তাদের দৌরাত্ম্য কমছে না। একটি রুট বন্ধ হলে, পাচারকারীরা নতুন নতুন রুট আবিষ্কার করে। সেখানে প্রধান হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছে রোহিঙ্গারা। তারা খুব সহজেই নানা কৌশলে সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমার যাচ্ছে এবং ইয়াবা নিয়ে আসছে। এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে দেশীয়পন্য পাচারকারী চক্র।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, মাদক,দুর্নীতি, অনিয়ম এসবের বিরুদ্ধে উখিয়া থানার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক বা অন্যান্য অবৈধ কর্মকান্ডের খবর পেলে তাৎক্ষনিক আমাদের টিম ব্যবস্থা নিচ্ছে। এসব মাদক নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করতে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।